Skip to content

Latest commit

 

History

History
476 lines (325 loc) · 30.5 KB

File metadata and controls

476 lines (325 loc) · 30.5 KB

ফাংশন

একই প্রোজেক্টে এক রকমের কাজ আমাদের করা লাগতে পারে।

যেমন ধরুন, একটা মজাদার ম্যাসেজ দেখাতে হবে ইউজারকে, যখন লগ ইন করবে, লগ আউট করবে, বা অন্য কোনো জায়গায়।

ফাংশন হলো সেট অফ প্রোগ্রাম বা কিছু রিলেটেড কোডের সমষ্টি যা কোনো নির্দিষ্ট কাজ করতে পারে বার বার, প্রোজেক্টে লেখা পুরো কোডের সামগ্রিক স্ট্র্যাকচার ঠিক রেখে।

আমরা ইতোমধ্যে জাভাস্ক্রিপ্টের নিজস্ব কিছু ফাংশনের ব্যাবহার দেখেছি। যেমনঃ alert(message), prompt(message, default) and confirm(question)। কিন্তু আমরা নিজেরাই এমন ফাংশন বানাতে পারি!

ফাংশন ডিক্লিয়ার করা

পরিপূর্ণ ফাংশন বানাতে প্রথমে আমাদের ফাংশনের একটা প্রোটোটাইপ বা ডেমো বানাতে হবে।

যা দেখতে হবে এমনঃ

function showMessage() {
  alert( 'Hello everyone!' );
}

ফাংশন বানাতে প্রথমের function কীওয়ার্ডটা লিখে বুঝিয়ে দিতে হবে জাভাস্ক্রিপ্ট ইঞ্জিনকে যা এখন আমরা যা লিখতে যাচ্ছি তা একসাথে একটা কাজ সমাধান করতে যাচ্ছে। এরপরে ফাংশনের নাম লিখে ফাংশনকে যে কোনো জায়গা থেকে ডাকার ব্যবস্থা করতে হবে। এরপর দুই প্রথম ব্রাকেটের মাঝে কিছু জিনিস দিতে হবে প্রয়োজন অনুসারে, যেটাকে বলে প্যারামিটার (প্যারামিটার যে দিতেই হবে তার বাধ্যবাধকতা নেই। যেমন উপরের উদাহরণে দেওয়া হয় নাই। যদি প্যারামিটার লাগে তাহলে কমা দিয়ে আলাদা করে হয় প্যারামিটারগুলো। একটা ফাংশনে একাধিক প্যারামিটার থাকতে পারে।) সবশেষে দুই �সেকেন্ড ব্রাকেটের মাঝে কোড লিখতে হয়, যা কিনা কোনো নির্দিষ্ট কাজ করতে সাহায্য করবে। এই অংশকে বলা হয় ফাংশন বডি

function name(parameters) {
  ...body...
}

কোনো ফাংশনকে কল করতে সেই ফাংশনকে তার নাম ধরে এইভাবে ডাকা লাগেঃ showMessage()

যেমনঃ

function showMessage() {
  alert( 'Hello everyone!' );
}

*!*
showMessage();
showMessage();
*/!*

এখানে আমরা showMessage() কে দুইবার ডেকেছি। আমাদের ফাংশনের কাজ একবার Hello everyone! লিখে এলার্ট দেওয়া। তাই দুইবার ডাকলে আমরা দুইবার এলার্ট দেখতে পাবো।

এই উদাহরণ একটা বিষয়কে স্পষ্ট করে, তাহলো- একই কোডের বহুব্যবহার (রিপিট) এড়ানো।

যদি আমাদের কখনো ম্যাসেজ পরিবর্তন করা লাগে তাহলে আমাদের কাজ শুধু ফাংশনের ভিতরের কোডটুকু পরিবর্তন করে দিলেই হয়ে যাবে।

লোকাল ভ্যারিয়েবল

কোনো ফাংশনের ভিতরে ডিক্লিয়ার করা ভ্যারিয়েবল শুধুমাত্র সেই ফাংশনের ভিতরেই এক্সেস করা সম্ভব।

যেমনঃ

function showMessage() {
*!*
  let message = "Hello, I'm JavaScript!"; // লোকাল ভ্যারিয়েবল
*/!*

  alert( message );
}

showMessage(); // এইটা Hello, I'm JavaScript! এলার্ট দিবে

alert( message ); // <-- Error! এখানে meesage ভ্যারিয়েবলকে এক্সেস করা সম্ভব না।

আউটার ভ্যারিয়েবল

কোনো ফাংশন নিজের ব্লকের বাইরের ভ্যারিয়েবলও এক্সেস করতে পারে। যেমনঃ

let *!*userName*/!* = 'Rahim';

function showMessage() {
  let message = 'Hello, ' + *!*userName*/!*;
  alert(message);
}

showMessage(); // Hello, Rahim

ফাংশনের যে আউটার ভ্যারিয়েবলের শুধু এক্সেস আছে তাই না, ফাংশন আউটার ভ্যারিয়েবলের মানও পরিবর্তন করতে পারে।

যেমনঃ

let *!*userName*/!* = 'Rahim';

function showMessage() {
  *!*userName*/!* = "Karim"; // () আউটার ভ্যারিয়েবলের মান পরিবর্তন করা হয়েছে

  let message = 'Hello, ' + *!*userName*/!*;
  alert(message);
}

alert( userName ); // ফাংশন কল করার আগে *!*Rahim*/!* এলার্ট দিবে

showMessage();

alert( userName ); // *!*Karim*/!* এলার্ট দিবে। কারণ, ভ্যারিয়েবলের মান ফাবগশনের মধ্যে পরিবর্তন করা হয়েছে

যদি কোনো লোকাল ভ্যারিয়েবল না থাকে, সেক্ষেত্রেই কেবল আউটার ভ্যারিয়েবল ব্যবহার করা হয়।

যদি একই নামে লোকাল ও আউটার ভ্যারিয়েবল ডিক্লিয়ার করা হয়, তাহলে প্রোগ্রাম আউটার ভ্যারিয়েবলকে কম গুরুত্ব দেয়। যেমন, নিচের কোডে userName নামে ভ্যারিয়েবল নেওয়া হয়েছে। প্রোগ্রাম আউটার ভ্যারিয়েবলকে এড়িয়ে গেছে।

let userName = 'Rahim';

function showMessage() {
*!*
  let userName = "Karim"; // লোকাল ভ্যারিয়েবল declare করা হয়েছে ও initialize করা হয়েছে
*/!*

  let message = 'Hello, ' + userName; // *!*Karim*/!*
  alert(message);
}

// ফাংশন তার লোকাল ভ্যারিয়েবল রিটার্ণ করবে
showMessage();

alert( userName ); // *!*Rahim*/!*, অপরিবর্তনীয়, ফাংশন আউটার ভ্যারিয়েবল এড়িয়ে গেছে
ফাংশনের বাইরে declare করা কোনো ভ্যারিয়েবলকে *গ্লোবাল* ভ্যারিয়েবলও বলা হয়।

গ্লোবাল ভ্যারিয়েবল যে কোনো জায়গা থেকে এক্সেস করা যায় (যদি না ফাংশনে লোকাল ভ্যারিয়েবল একই নামে থাকে)।

গ্লোবাল ভ্যারিয়েবল যত কম ব্যবহার ও ডিক্লিয়ার করা যায় ততই ভালো। বর্তমান সময়ের বেশিরভাগ প্রোগ্রামে গ্লোবাল ভ্যারিয়েবল খুব কম অথবা একদমই নাই। বেশিরভাগ ভ্যারিয়েবল স্ব স্ব ফাংশনেই ডিক্লিয়ার করা হয়। মাঝে মাঝে যদিও গ্লোবাল ভ্যারিয়েবল project-level ডাটা ধরে রাখতে ব্যবহার করা হয়।

প্যারামিটার

আমরা প্রয়োজনীয় ডাটা প্যারামিটার এর মাধ্যমে কোনো ফাংশনে ব্যবহার করতে পারি। (এদেরকে ফাংশন আর্গুমেন্টস ও বলা হয়)।

নিচের উদাহরণে দুইটা প্যারামিটার আছে। একটা from এবং অন্যটা text

function showMessage(*!*from, text*/!*) { // আর্গুমেন্টসঃ from, text
  alert(from + ': ' + text);
}

*!*
showMessage('Ann', 'Hello!'); // Ann: Hello! (*)
showMessage('Ann', "What's up?"); // Ann: What's up? (**)
*/!*

যখন ফাংশন লাইন (*) এবং (**) কল করে, ভ্যালুগুলো from এবং text এ এসাইন হয়। পরবর্তিতে প্রয়োজনানুসারে ফাংশন তাদেরকে ব্যবহার করে।

আরেকটা উদাহরণ দেখা যাকঃ ভ্যারিয়েবল from ফাংশনে ডিক্লিয়ার করলাম। নোটঃ ফাংশন from কে পরিবর্তন করে, কিন্তু এই পরিবর্তন বাইরে কোথাও দেখা যাবে না। কারণ, ফাংশন সবসময় ভ্যাল্যুর একটা কপি নিজের কাছে রেখে দিবে।

function showMessage(from, text) {

*!*
  from = '*' + from + '*'; // "from" কে দেখতে সুন্দর লাগছে না এখন?
*/!*

  alert( from + ': ' + text );
}

let from = "Ann";

showMessage(from, "Hello"); // *Ann*: Hello

// "from" এর ভেল্যু একই, ফাংশন শুধু লোকাল কপিকে মোডিফাই করেছে
alert( from ); // Ann

ডিফল্ট ভ্যালু

যদি কোনো প্যারামিটার এর মান দেওয়া না থাকে, তাহলে সেটার ভ্যালু undefined ধরে নেওয়া হয়।

তাই একাধিক প্যারামিটারের ক্ষেত্রে showMessage(from, text) একটা আর্গুমেন্ট দিলেও প্রোগ্রাম চলবে। যেমনঃ

showMessage("Ann");

এইখানে কোনো ভুল নেই। এমন ফাংশন কল "Ann: undefined" রিটার্ন করবে। এখানে text প্যারামিটারের মান বলে দেওয়া হয় নাই। তাই text === undefined ধরে নিবে প্রোগ্রাম।

যদি কোনো মান সেট না হলে ডিফল্টভাবে একটা মান ধরে নিয়ে প্রোগ্রাম চালাতে চাই, তাহলে প্যারামিটারেই মানটা এসাইন করে দিতে পারবো। যেমনঃ

function showMessage(from, *!*text = "no text given"*/!*) {
  alert( from + ": " + text );
}

showMessage("Ann"); // Ann: no text given

এখানে যদি text প্যারামিটারের মান ইউজার না দেয়, তাহলে ডিফল্টভাবে "no text given" সেট হয়ে থাকবে।

এখানে "no text given" একটা স্ট্রিং। কিন্তু আমরা চাইলে এখানে যে কোনো কিছু ব্যবহার করতে পারি। এমনকি জটিল লজিক্যাল অপারেশনও। যদি প্যারামিটার মিসিং থাকে তাহলে বাই ডিফল্ট সেই অপারেশন কাজ করবে। যেমনঃ

function showMessage(from, text = anotherFunction()) {
  // anotherFunction() কেবলমাত্র তখনই চলবে যখন কোনো প্যারামিটার ভ্যালু দেওয়া হবে না।
  // যদি দেওয়া হয়, তাহলে এই ফাংশন রিপ্লেস হয়ে ইউজার প্রদত্ত ভ্যালু সেট হয়ে যাবে।
}
জাভাস্ক্রিপ্টে কোনো প্যারামিটারের বিপরীতে কোনো মান সেট করে না দিলে প্যারামিটারে ডিফল্টভাবে এসাইন করা মান কল হবে যতবার পুরো ফাংশন কল করা হবে।

উপরের উদাহরণ টেনে বলা যায়, `anotherFunction()` ততবার কল হবে যতবার `showMessage()` কল করা হবে `text` প্যারামিটারের মান দেওয়া ছাড়াই।
জাভাস্ক্রিপ্টের আগের ভার্সনগুলো ডিফল্ট প্যারামিটার সাপোর্ট করে না। কিন্তু অন্যভাবে কাজ চালিয়ে নেওয়া যায়।

যেমন, `undefined` এর মান পরিবর্তন করেঃ

```js
function showMessage(from, text) {
*!*
  if (text === undefined) {
    text = 'no text given';
  }
*/!*

  alert( from + ": " + text );
}
```

...Or the `||` operator:

```js
function showMessage(from, text) {
  // যদি `text` এর মান না দেওয়া হয় তাহলে "default" ভ্যালু সেট করে নিবে
  text = text || 'no text given';
  ...
}
```


ভ্যালু রিটার্ন করা

ফাংশন যে কোনো ভ্যালু রিটার্ন করতে পারে।

যেমন, দুইটা ভ্যালু যোগ করতে তাদের যোগফল রিটার্ন করাঃ

function sum(a, b) {
  *!*return*/!* a + b;
}

let result = sum(1, 2);
alert( result ); // 3

return কীওয়ার্ড একটা ফাংশনের যে কোনো স্থানে ব্যবহার করা যেতে পারে। যখনই ফাংশন return খুঁজে পাবে, সাথে সাথে সেই ফাংশনের কাজ করা বন্ধ করে দিবে। এবং রেজাল্ট রিটার্ন করবে। (উপরে result এ রাখা হয়েছে রিটার্ন ভ্যালু)।

একটা ফাংশনে অনেক return কীওয়ার্ড থাকতে পারে। উদাহরণস্বরূপঃ

function checkAge(age) {
  if (age >= 18) {
*!*
    return true;
*/!*
  } else {
*!*
    return confirm('Do you have permission from your parents?');
*/!*
  }
}

let age = prompt('How old are you?', 18);

if ( checkAge(age) ) {
  alert( 'Access granted' );
} else {
  alert( 'Access denied' );
}

এমনকি return ইউজ করা যেতে পারে কোনো রকম ভ্যালু রিটার্ন করা ছাড়াই। এতে করে ফাংশন সাথে সাথেই থেমে যাবে।

যেমনঃ

function showMovie(age) {
  if ( !checkAge(age) ) {
*!*
    return;
*/!*
  }

  alert( "Showing you the movie" ); // (*)
  // ...
}

উপরের প্রোগ্রামে, যদি checkAge(age) রিটার্ন করে false, তাহলে showMovie কখনোই alert অব্ধি যাবে না।

``smart header="A function with an empty return or without it returns `undefined`" যদি কোনো ফাংশন কোনো ভ্যালু রিটার্ন না করে, তাহলে `undefined` রিটার্ন করবে।

function doNothing() { /* empty */ }

alert(doNothing() === undefined); // true

কোনো ফাঁকা return একদমই একই রকম আচরণ করে যেমন return undefined করে।

function doNothing() {
  return;
}

alert(doNothing() === undefined); // true

````warn header="Never add a newline between `return` and the value"
যদি কোনো বড় এক্সপ্রেশন `return` করা লাগে সেক্ষেত্রে হয়তো পরের লাইনে লেখার প্রবণতা তৈরি হতে পারে। যেমনঃ

```js
return
 (some + long + expression + or + whatever * f(a) + f(b))
```
কিন্তু এভাবে কাজ করবে না, কারণ জাভাস্ক্রিপ্ট ধরে নিবে `return` এর পরে সেমিকোলন আছে। (জাভাস্ক্রিপ্ট কিন্তু সেমিকোলন বাদেও কাজ করে। সেক্ষেত্রে প্রতিটা লাইনের শেষে সেমিকোলন ধরে নেয় ডিফল্টভাবে। একারণেই রিটার্নের পরে পরের লাইনে চলে গেলে সেমিকোলন করে নিয়ে কাজ করবে ফাংশন।) এটা সেক্ষেত্রে এইভাবে কাজ করবেঃ

```js
return*!*;*/!*
 (some + long + expression + or + whatever * f(a) + f(b))
```

তাই স্বাভাবিকভাবেই পুরো প্রোগ্রাম ফাঁকা (undefined) রিটার্ন করবে।

যদি বড় কোনো এক্সপ্রেশন রিটার্ন করা লাগে তাহলে একই লাইনে লেখা জরুরি। অথবা প্রথম বন্ধনীর ভিতরে লিখতে হবে পুরো এক্সপ্রেশন। যেমনঃ

```js
return (
  some + long + expression
  + or +
  whatever * f(a) + f(b)
  )
```
And it will work just as we expect it to.

ফাংশনের নামকরণ [#function-naming]

প্রতিটা ফাংশন হলো এক একটা এ্যাকশন। তাই তাদের নাম "ক্রিয়া" বাচক হওয়া যুক্তিযুক্ত। একই সাথে বিস্তারিত ও অর্থপূর্ণ হওয়া অত্যন্ত জরুরি যেন প্রোগ্রামার (নিজেও) শুধু নাম দেখে বুঝে নিতে পারে পুরো ফাংশন কোন ধরনের কাজ করছে।

এটাই সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত যে ফাংশনের নাম "ক্রিয়া বাচক" শব্দ দিয়ে শুরু করা। যখন কোনো টিমে কাজ করা হবে, তখন সবার মধ্যে একটা এগ্রিমেন্ট করে ফাংশনের নামের প্যাটার্ণ নির্ধারণ করা উচিৎ।

উদাহরণস্বরূপ, যে ফাংশন "show" দিয়ে শুরু হয় তা স্বাভাবিকভাবেই কিছু দেখাবে বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে।

যদি ফাংশন নিম্নোক্ত শব্দ দিয়ে শুরু হয় তাহলে...

  • "get…" -- কোনো ভ্যালু রিটার্ন করে,
  • "calc…" -- কোনো ধরনের ক্যালকুলেশন করে থাকে,
  • "create…" -- কিছু তৈরি করে,
  • "check…" -- কোনো কিছু কম্পেয়ার করে বা বুলিয়ান টাইপের কিছু রিটার্ন করে।

কিছু নামের উদাহরণ দেখা যাকঃ

showMessage(..)     // কোনো ম্যাসেজ দেখায়
getAge(..)          // বয়স রিটার্ন করে
calcSum(..)         // যোগ করে
createForm(..)      // কোনো ফর্ম তৈরি করে (সাধারণত রিটার্ন করে)
checkPermission(..) // পারমিশন চেক করে, true/false রিটার্ন করে

ফাংশন যে ধরনের শব্দ দিয়ে শুরু হয় তা একনজরে বুঝিয়ে দেয় কী ধরনের ভ্যালু সেখান থেকে পাওয়া যেতে পারে।

কোনো ফাংশনের নামে ও কাজে সম্পূর্নভাবে মিল থাকা লাগবে।

দুইটা কাজ অবশ্যই আলাদা আলাদা দুইটা ফাংশন দিয়ে করা যুক্তিযুক্ত। যদি দুইটাকে এক হয়ে একটা নির্দিষ্ট কাজ করা লাগে তাহলে তৃতীয় কোনো ফাংশনে তাদের কল করে কাজ করাটা অর্থপূর্ণ।

এই নিয়ম ভাঙ্গলে যে জটিলতা হতে পারে তার উদাহরণঃ

- `getAge` -- এটা খুব বাজে প্র্যাকটিস হবে যদি বয়স রিটার্ণ করে তা `alert` দেখায়। (শুধুই রিটার্ন করা উচিৎ ছিলো)
- `createForm` -- এইধরনের নামযুক্ত ফাংশন কোনো ডকুমেন্ট মডিফাই করা অযৌক্তিক, এমনকি কোনো কিছুতে কোনো ফর্ম এ্যাড করাও (শুধুই ফর্ম বানিয়ে রিটার্ন করে দেওয়া অব্ধিই এর কাজ চলা উচিৎ)
- `checkPermission` -- যদি এই ফাংশন `access granted/denied` ম্যাসেজ দেখায় তাহলে অযৌক্তিক হবে। (শুধুই পারমিশন চেক করে রিটার্ন করা উচিৎ)

এই উদাহরণ থেকে ফাংশনের নামেরর সূচনা শব্দ কেমন হওয়া উচিৎ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। আপনি ও আপনার টিম মিলে নিজেরা কোনো নিয়ম বানাতে পারেন, কিন্তু খুব বেশি পার্থক্য হয়তো হবে না। একটা সূচনা শব্দ ফাংশনের অনেক কিছুই বলে দিতে পারে। প্রতিটা একই ধরনের সূচনা শব্দ একই ধরনের কাজ করবে।
যে ফাংশনগুলো *খুব বেশি* কল করা হয়, তাকে মাঝে মাঝে স্পেশাল কিছু সূচনা নাম দেওয়া হয়ে থাকে।

যেমন, [jQuery](http://jquery.com) ফ্রেমওয়ার্ক `$` দিয়ে শুরু করে তাদের ফাংশন নাম। আবার [Lodash](http://lodash.com/) লাইব্রেরি `_` দিয়ে শুরু করে।

এগুলো এক্সেপশন। বেশিরভাগ সময় ফাংশন নাম অর্থপূর্ন ও বিস্তারিত হওয়া উচিৎ।

ফাংশন == কমেন্টস

ফাংশন ছোট হওয়া উচিৎ ও একটা নির্দিষ্ট কাজ করা উচিৎ। যদি কোনো ফাংশন বড় কাজ করে থাকে, তাহলে তাকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে ফেলা জরুরি। মাঝে মাঝে এই ব্যাপারটা বিরক্তিকর লাগতে পারে, কিন্তু অবশ্যই ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত ভালো অভ্যাস।

ছোট ছোট ফাংশন যে টেস্ট ও ডিবাগ করতে সুবিধাজনক তা-ই শুধু না, বরং -- এটা প্রোগ্রামকে অর্থপূর্ন কমেন্টের কাজে সাহায্য করে থাকে!

উদাহরণস্বরূপ, দুইটা ফাংশন showPrimes(n) এর পার্থক্য নিচে দেখানো হলো। প্রতিটা-ই মৌলিক সংখ্যা রিটার্ন করে n অব্ধি।

প্রথমটা একবারে কাজ করেঃ

function showPrimes(n) {
  nextPrime: for (let i = 2; i < n; i++) {

    for (let j = 2; j < i; j++) {
      if (i % j == 0) continue nextPrime;
    }

    alert(i); // a prime
  }
}

পরেরটা নতুন ফাংশন isPrime(n) কল করে মৌলিক সংখ্যা চেক করার জন্যঃ

function showPrimes(n) {

  for (let i = 2; i < n; i++) {
    *!*if (!isPrime(i)) continue;*/!*

    alert(i);  // a prime
  }
}

function isPrime(n) {
  for (let i = 2; i < n; i++) {
    if ( n % i == 0) return false;
  }
  return true;
}

দ্বিতীয়টা বুঝতে সুবিধাজনক, তাই না? ভিতরের ফাংশন (isPrime) দেখে এর কাজ বুঝে যাওয়া যায়। মাঝে মাঝে প্রোগ্রামাররা এইধরনের কোডকে স্ব-বর্ণনাকারী (সেলফ-ডেস্ক্রাইবিং) বলে থাকে।

এর মানে ফাংশন তৈরি করা যেতে পারে যদি আমরা পরে ব্যাবহার না করতে চাই তবুও। সেটা কোডকে সাজাতে ও বুঝতে সাহায্য করে।

সারসংক্ষেপ

ফাংশন এই ফরমেটে তৈরি করা হয়ঃ

function name(parameters, delimited, by, comma) {
  /* code */
}
  • প্যারামিটারে এসাইন করা ভ্যালু ফাংশনে লোকাল ভ্যারিয়েবলের মতো কাজ করে।
  • ফাংশন বাইরের ভ্যারিয়েবল এক্সেস করতে পারে, কিন্তু ফাংশনের ভিতরে থাকা কোনো ভ্যারিয়েবল (লোকাল ভ্যারিয়েবল) বাইরে থেকে এক্সেস করা যায় না।
  • ফাংশন ভ্যালু রিটার্ন করতে পারে। যদি ভ্যালু রিটার্ন না করে তাহলে ফাংশন রিটার্ন ভ্যালু হিসেবে undefined রিটার্ন করে।

কোডকে অর্থপূর্ন ও গোছালো রাখতে লোকাল ভ্যারিয়েবল ইউজ করা উচিৎ, গ্লোবাল ভ্যারিয়েবল ইউজ না করে।

বাইরের ভ্যারিয়েবল মডিফাই করে ও কোনো প্যারামিটার না রেখে ফাংশন ইউজ করার চেয়ে প্যারামিটারসহ ফাংশন নিয়ে কাজ করা অনেক বেশি অর্থপূর্ন ও সহজ।

ফাংশন নামকরণঃ

  • কোনো ফাংশনের নাম দেখেই তার কাজ বুঝে যাওয়া উচিৎ আর এমনভাবেই ফাংশনের নামকরণ করা দরকারি।
  • প্রতিটা ফাংশন একটা কাজ, তাই ফাংশনের নাম অবশ্যই "ক্রিয়াবাচক" হতে হবে।
  • ফাংশনের নামে সূচনা শব্দ create…, show…, get…, check… অনেক জনপ্রিয়। এমন ধরনের শব্দ ব্যবহার করা উচিৎ ফাংশন কী করে তা বুঝাতে।

ফাংশন হলো কোনো প্রোগ্রামের প্রধান ভিত্তি। এখানে আমরা স্ট্র্যাকচার নিয়ে বেসিক শেষ করেছি। এখন আমরা ফাংশন বানাতে পারি ও ইউজ করতে পারি। এটা শুধুই শুরু। আমরা অনেকবার ফাংশনের কাছে ফিরে আসবো এটা নিয়ে আরো গভীরে জানার জন্য।